যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সরকারের ভর্তুকির ২ হাজার ৪২০ বস্তা চায়না ডিএপি সার কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে সারসহ ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন ডিলারের নামে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রসেন মন্ডল বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীরা হচ্ছেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়া কান্দির মেসার্স সোহাগ এন্টারপ্রাইজের মালিক একেএম আমিরুল ইসলাম,গোয়ালন্দ উপজেলার মেসার্স সপ্তবর্না ট্রেডার্সের মালিক রনজিত কুমার সরকার,কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ইউনিভার্সাল ট্রেডের মালিক মোঃ মিজানুর রহমান। কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সকালে নওয়াপাডা রাজঘাট এলাকা থেকে তিনটি ট্রাক ভর্তি ২৪২০ বস্তা ডিএপি এই সার অন্যথ উপজেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
আমদানীকারক ও স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে রাজঘাট এলাকায় ট্রাক তিনটি আটক করেন।পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি অফিসার সরেজমিনে এসে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে সমুদয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।নওয়াপাড়া সার ব্যবসায়ী মো. আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন একটি চক্র নওয়াপাড়া বাজার থেকে সরকারী ভর্তুকির সার বেশি মুনাফার লাভে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে।এই কালোবাজারী সিন্ডিকেটদের আইনী আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র ডিলারদের কাছ থেকে বরাদ্দপত্র কিনে ৯৫০ টাকার ভর্তুকির সার কৃষকদের কাছে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করে আসছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে তিনজন ডিলারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২৪২০ বস্তা ডিএপি সার বিতরণ করা হয়েছিল সাইফুল্লাহ তাকওয়ার নামক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে । কিন্তু বরাদ্দকৃত সার সংশ্লিষ্ট উপজেলাতে না নিয়ে একটি চক্র বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। পরে সারসহ ট্রাক তিনটি জব্দ করা হয়।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম বলেন, জব্দকৃত সারের তিন ডিলার মালিকদের নামে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ